মৌলবাদী পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং অসহায় নারী
নারী নির্যাতনের সাথে যে পুরুষতান্ত্রিক মৌলবাদী শাসনতন্ত্র জড়িত আছে সে বিষয়ে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ প্রচণ্ড উদাসীন। শুধু মাত্র নারীকে সন্তান উৎপাদন এবং শারীরিক চাহিদা মেটাবার
নারী নির্যাতনের সাথে যে পুরুষতান্ত্রিক মৌলবাদী শাসনতন্ত্র জড়িত আছে সে বিষয়ে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ প্রচণ্ড উদাসীন। শুধু মাত্র নারীকে সন্তান উৎপাদন এবং শারীরিক চাহিদা মেটাবার
বাংলাদেশের ইসলামিক নেতারা অর্থাৎ যারা মৌলবাদী তারা কোন ধরনের পরিবর্তনকে এটি ভয় পায় যে তারা মনে করে যে সংস্কার হোলেই তাদের হাত থেকে ধর্ম ছুটে
দিন দিন যেন মানুষের বিবেক বুদ্ধি ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। বাংলাদেশে গৃহকর্মী নির্যাতনের ভয়াবহতা হার বেড়েই চলেছে। মানুষ, মনুষ্যত্ব এবং মানবতার অপমানের অপর নাম গৃহকর্মী নির্যাতন।
ঘরে এবং বাইরে নারীরা এখন যেন কোথাও নিরাপদ নয়৷ নারীরা পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথেও অহরহ নির্যাতিত হচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, গত ১৩
সৌন্দর্য্য একটি আপেক্ষিক বিষয়। একেক জনের কাছে এর মানদন্ড একেক রকম। আপনি বিশ্বের একটি অঞ্চলে সুন্দরী বলে প্রমাণিত হলেও অন্য অঞ্চলে আপনাকে কুৎসিত বলেই ধরা
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ সবসময়েই কম দেখা গেছে। তবে আশার কথা এই যে, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীর
আন্দোলন কথাটি অনেক বড় অর্থ ধারণ করে। সারা পৃথিবীতেই নারী আন্দোলনের বিষয়ে অনেক কাজ হয়েছে। বাংলাদেশেও নারী আন্দোলনের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। বাংলার সাহিত্য, শিল্প ও
নারীর ক্ষমতায়নে দেশ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই তবে এখনো রাজনীতিতে বহুদূর যেতে হবে জেন্ডার সমতা অর্জনের লক্ষ্য পূরণে। কিন্তু এ অগ্রগতি এখনো
নারীর চলার পথ বা তাদের অগ্রযাত্রার পথ কখনোই মসৃণ ছিলোনা। অনেক বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা সহ্য করে, কঠিন যুদ্ধে করে,ভয়কে জয় করে, সব
আমি নিলুফার হক। চিন্তা করি, আশে পাশের জগতকে গভীর ভাবে উপলব্ধি করি, চারিদিক পর্যবেক্ষণ করি। ভালো লাগে লিখতে, ভালো লাগে বলতে।
বাংলাদেশের একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে আমি যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছি বছরের পর বছর সেটি এক ভয়াবহ গল্পের মত হয়ত শোনাবে। সেইসব দুঃখের উপখ্যান কখনো কাউকে কাউকে জড়ো করে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই।
কথা ছিলো, একটা সুন্দর বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের পরে। যেখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি থাকবেনা, থাকবে না ধর্ম ভিত্তিক কোনো চিন্তা। কিন্তু আদতে তা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয়েছে, এই দেশ ছাড়া করা হয়েছে। বাংলাদেশের অসংখ্য সংখ্যালঘু একটু একটু করে দেশ ছেড়েছেন, চলে গেছেন নানান দেশে অভিবাসন করে।
আর ধর্মে অবিশ্বাসীদের ওপর সামাজিক যে জুলুম অব্যাহত আছে তা আর নাই বা বললাম। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো ধর্মে বিশ্বাস না করার কারনে খুন করে ফেলা। আমাদের দেশে নাস্তিক বা অজ্ঞেয়বাদীদের খুন করা এখন একদম ছেলে খেলা হয়ে গেছে। এসব খুনের তদন্ত ও হয়না, বিচারও হয় না। তথাকথিত “ধার্মিক” ও “শান্তিপ্রিয়” মুসলমানরা কোন নাস্তিক্যবাদী ধারনা পোষণ করা ব্যক্তি খুন হোলেই প্রকাশ্যে না হোক মনে মনে হোলেও এক মুচকি হাসি দেয়।
আমি তাই লিখি এইসব অন্যায়ের কথা, এইসব অপমানের কথা। আমার কন্ঠে তাই হয়ত বের হয় দুঃখে মোড়ানো আশ্চর্য আগুন। আমার লেখায় তাই হয়ত বারুদের ঝাঁঝ মিশে থাকে কোনো এক অব্যক্ত তাড়নায় অথবা কষ্টে।
আমি এই ব্লগটি নিজের খেরো খাতার মত করে লিখছি। বলছি আমার মনের কথা। যদিও লিখতে গিয়ে মৌলবাদীদের আক্রোশের শিকার হয়েছি, তাদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছি কিন্তু তারপরেও দমে যাইনি।
আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছি। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
নিলুফার হক – নারী অধিকার কর্মী, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট