আমি নিলুফার হক। চিন্তা করি, আশে পাশের জগতকে গভীর ভাবে উপলব্ধি করি, চারিদিক পর্যবেক্ষণ করি। ভালো লাগে লিখতে, ভালো লাগে বলতে।
বাংলাদেশের একটা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে আমি যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছি বছরের পর বছর সেটি এক ভয়াবহ গল্পের মত হয়ত শোনাবে। সেইসব দুঃখের উপখ্যান কখনো কাউকে কাউকে জড়ো করে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই।
কথা ছিলো, একটা সুন্দর বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের পরে। যেখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি থাকবেনা, থাকবে না ধর্ম ভিত্তিক কোনো চিন্তা। কিন্তু আদতে তা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয়েছে, এই দেশ ছাড়া করা হয়েছে। বাংলাদেশের অসংখ্য সংখ্যালঘু একটু একটু করে দেশ ছেড়েছেন, চলে গেছেন নানান দেশে অভিবাসন করে।
আর ধর্মে অবিশ্বাসীদের ওপর সামাজিক যে জুলুম অব্যাহত আছে তা আর নাই বা বললাম। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো ধর্মে বিশ্বাস না করার কারনে খুন করে ফেলা। আমাদের দেশে নাস্তিক বা অজ্ঞেয়বাদীদের খুন করা এখন একদম ছেলে খেলা হয়ে গেছে। এসব খুনের তদন্ত ও হয়না, বিচারও হয় না। তথাকথিত “ধার্মিক” ও “শান্তিপ্রিয়” মুসলমানরা কোন নাস্তিক্যবাদী ধারনা পোষণ করা ব্যক্তি খুন হোলেই প্রকাশ্যে না হোক মনে মনে হোলেও এক মুচকি হাসি দেয়।
আমি তাই লিখি এইসব অন্যায়ের কথা, এইসব অপমানের কথা। আমার কন্ঠে তাই হয়ত বের হয় দুঃখে মোড়ানো আশ্চর্য আগুন। আমার লেখায় তাই হয়ত বারুদের ঝাঁঝ মিশে থাকে কোনো এক অব্যক্ত তাড়নায় অথবা কষ্টে।
আমি এই ব্লগটি নিজের খেরো খাতার মত করে লিখছি। বলছি আমার মনের কথা। যদিও লিখতে গিয়ে মৌলবাদীদের আক্রোশের শিকার হয়েছি, তাদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছি কিন্তু তারপরেও দমে যাইনি।
আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছি। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
নিলুফার হক – নারী অধিকার কর্মী, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট